আজ ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জাল দলিল সৃজন করে ভুয়া নামজারি, প্রতারক কারাগারে


রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: রাঙ্গুনিয়ায় জাল দলিল সৃজন করে ভুয়া নামজারি করার অপরাধে ইদ্রিস প্রকাশ তুফান (৫০) নামে এক প্রতারককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) তিনি আদালতে জামিন আবেদন করলে তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ এর বিচারক নাজমুন নাহার এই আদেশ দেন।

প্রতারক ইদ্রিস প্রকাশ তুফান উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড ছাদেক নগর এলাকার শরফু উদ্দিনের ছেলে এবং সে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। তার বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়া থানাও একাধিক মামলা রয়েছে।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট নুরুল হক জানান, গ্রেফতার তুফান ও তার ভাই শাহ আলম (৪৮) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো- তারা আপন ফুফু ও একমাত্র বোনকে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বাদ দিয়ে জাল দলিল সৃজন করে এবং সেই দলিল দিয়ে ভুয়া নামজারি করে কিছু জমি বিক্রিও করে দেন। তাদের ফুফাতো ভাই সৌদি আরব প্রবাসী উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মাওলানা কবির আহমদ পাড়ার মৃত সবুর আহমদের ছেলে আবদুল সাত্তার দীর্ঘ ২৮ বছর পর দেশে ফিরে এই জালিয়াতি লক্ষ্য করেন এবং ওয়ারিশদের পক্ষে এই মামলা করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী নুরুল হক আরও জানান, সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে আদালত পরোয়ানা জারী করেন এবং জামিন চাইতে এলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। এরকম জালিয়াতির সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির বিধান রয়েছে বলে জানান তিনি।

এই বিষয়ে অভিযুক্তদের একমাত্র ভাগিনা কামাল তামিম বলেন, আমার মা শাহজাহান বেগম তাদের একমাত্র বোন। আমি তাদের একমাত্র ভাগিনা। আমাদেরও আমাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। আমার মায়ের নাম বাদ দিয়ে জাল দলিল সৃজন করে। সেটা দিয়ে নামজারি করে অনেক জায়গা বিক্রিও করে দেন। আমরা যখন এসব তদারকি শুরু করি, তখন ভূমি অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বালাম খাতায় কালো কালি দিয়ে খতিয়ান নাম্বারটি মুছে দেয়। আমরা মহামান্য আদালতের কাছে এই জালিয়াতির বিচার এবং আমাদের অধিকার বুঝে পেতে চাই।

এই জালিয়াতি প্রসঙ্গে ইসলামপুরের স্থানীয় বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী মো. ইকবাল জানান, ইসলামপুর রাজানগরে এই ধরণের একাধিক জালিয়াতি চক্র রয়েছে। তারা জালিয়াতি করে দলিল বানিয়ে ভুল নামজারি করিয়ে শত শত মানুষদের কষ্ট দিচ্ছে। নতুন বাংলাদেশে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি।

 


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর